ঈদুল আজহার পরও দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বাড়ছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। এই প্রবাহ দেশের ডলারের দামে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার পাশাপাশি রিজার্ভ ধরে রাখতে সহায়তা করছে।
এপ্রিলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে সৌদি আরব থেকে। দেশটি থেকে এসেছে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ (ইউএস) ডলার। যা মোট রেমিট্যান্সের ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ঈদের পর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসা কমেছে। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ (ইউএস) ডলার পাঠিয়েছেন। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৩৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় মেলা। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় ও সানাই পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এ মেলায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
এখন থেকে ব্যবহারযোগ্য সব বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের নামে খোলা বৈদেশিক হিসাবের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারিত হবে।
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মার্চ মাসে রেকর্ড ৩২৯ কোটি (৩.২৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন সার্ক সাংবাদিক ফোরামের সংযুক্ত আরব আমিরাত চ্যাপ্টারের উদ্যোগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আমাদের দেশের অন্যতম চালিকা শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড হয়েছে। পুরো বছরে দেশে এসেছে মোট প্রায় ২৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে দেশে ২২০ কোটি ইউএস ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। গত বছরের নভেম্বরে দেশে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসা প্রবাসী আয় গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রহীতা হিসেবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৪-এ পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের ন্যাশনাল ব্যাংক। শীর্ষ রেমিট্যান্স ব্যাংক গ্রহীতা ২০২৪ পুরস্কার পেয়েছে তারা।
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ৬৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে। এ অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পৌনে দুইশ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ শোধ করেছে রিজার্ভে হাত না দিয়ে৷ বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণ ও সুদ বাবদ প্রায় সোয়া একশ কোটি ডলার শোধ করেছে৷ কীভাবে তা সম্ভব হয়েছে?